GPH Ispat কোম্পানি লিমিটেড"-কর্তৃক উচ্ছেদ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও_প্রতিবাদ
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার সুলতানা মন্দির ত্রিপুরা পাড়াকে শিল্প প্রতিষ্ঠান "জিপিএইচ ইস্পাত (GPH Ispat) কোম্পানি লিমিটেড"-কর্তৃক উচ্ছেদ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে #তীব্র_নিন্দা_ও_প্রতিবাদ
১৯ এপ্রিল, ২০২০, খাগড়াছড়ি।।
১৭ এপ্রিল, ২০২০ খ্রি. এসএটিভিতে (SATV) প্রচারিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানতে পারলাম যে, জিপিএইচ ইস্পাত (GPH Ispat) কোম্পানি লিমিটেড"-কর্তৃক চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ৭ নং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত সুলতানা মন্দির ত্রিপুরা পাড়া উচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে কোম্পানি কর্তৃক গ্রামবাসীর যাতায়াতের একমাত্র পথটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, দখল করে নেয়া হয়েছে গোসল করার একমাত্র পুকুরও। এমতাবস্থায় গ্রামবাসীরা প্রতিনিয়ত উচ্ছেদ আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে।
আমরা জানি যে, চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলায় ব্রিটিশ শাসনেরও আগে থেকে ত্রিপুরারা বসবাস করে আসছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন কোম্পানি জায়গা লিজ নিয়ে সেখানে নানান শিল্প কারখানা স্হাপন করে এবং ধীরে ধীরে ত্রিপুরাদেরকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। উপরোক্ত প্রক্রিয়াও নিশ্চিতভাবে তারই একটি অংশ।
এহেন নেক্কারজনক হীন কর্মকাণ্ডের জন্য "জিপিএইচ ইস্পাত (GPH Ispat) কোম্পানি লিমিটেড"-কে আমরা ত্রিপুরা ছাত্র সমাজের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী সামাজিক ছাত্র সংগঠন " ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম, বাংলাদেশ" এবং বাংলাদেশের সমগ্র ত্রিপুরা জাতির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং একইসাথে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিকট নিম্নোক্ত দাবিনামা পেশ করছি-
১। সুলতানা মন্দির ত্রিপুরা পাড়ায় বসবাসরত ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীকে জিপিএইচ ইস্পাত (GPH Ispat) কোম্পানি লিমিটেড"-কর্তৃক উচ্ছেদ প্রক্রিয়া দ্রুত বন্ধ করতে হবে;
২। স্থানীয় ত্রিপুরাদের নামে স্থায়ীভাবে ভূমি বন্দোবস্তী প্রদান করতে হবে;
৩। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে;
৪। রাস্তাঘাট ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে;
৫। তাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে ;
৬। ত্রিপুরাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
বার্তা প্রেরক-
স্বাক্ষরিত
নক্ষত্র ত্রিপুরা
সাধারণ সম্পাদক
ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম, বাংলাদেশ
মোবাইল: +8801557108236
সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রেরণ করা হলো-
১. মাননীয় মন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার;
২. মাননীয় সংসদ সদস্য, ০৪ নং আসন, চট্টগ্রাম;
৩. মাননীয় সংসদ সদস্য, ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি আসন;
৪. বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম;
৫. জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম;
৬. পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম;
৭. ভূমি কমিশনার, চট্টগ্রাম;
৮. চেয়ারম্যান, সীতাকুণ্ড উপজেলা;
৯. উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম;
১১. সভাপতি/সম্পাদক, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব/সাংবাদিক ইউনিয়ন.................... ;
১২. বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ/ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশন রাঙ্গামাটি/ জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা/ বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম/কাপেং ফাউন্ডেশন/ALRD/YPSA, Chittagong/................সামাজিক সংগঠন ও
১৩. জনাব................... প্রতিনিধি (...............প্রিন্ট/ইলেক্ট্রনিক/অনলাইন মিডিয়া)।
Comments
Post a Comment